ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কারও চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে

বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, এবারও পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন হবে এবং যথাসময়েই হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কারও চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না। জনগণ তাদের সঙ্গে আছে, বিএনপির সঙ্গে নেই বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’-এ যোগদান বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কে চোখ রাঙালো, কে চোখ বাঁকালো তাতে কিছু যায় আসে না। নির্বাচন হবেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৪ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালেও পারে নাই। এবারও পারবে না।

বিএনপি এবার যে সহিংসতা করছে তাতে এবার আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান সরকারপ্রধান। নাশকতাকারীদের বিচার দ্রুততার সঙ্গে করার ওপরও জোর দেন তিনি।

বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? কে বিরোধী দল? বিরোধী দল হলো তারাই যাদের পার্লামেন্ট সিট আছে। বিরোধী দল বলতে যাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে সংসদে তারাই। এর বাইরে কিছু হয় না। যুক্তরাষ্ট্রেও হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মানুষগুলো হত্যা হলো, তাকে (পিটার হাস) প্রশ্ন করলো না কেন। হিরো আলমকে নিয়ে কথা বলে। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক, যারা এভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারল তাদের সঙ্গে কীসের ডায়লগ। সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক। বালাদেশি মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচিত সরকার থাকলে যে উন্নতি হয় তা আপনারা বিশ্বাস করেন। বিএনপির নাশকতার ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

২৮ অক্টোবরের সহিংসতায় বিএনপিকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে সন্ত্রাসী সেটা আবারও প্রমাণ করল। কানাডার কোট সেটা বারবার বলেছে। মাঝে কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা পালন করেছে। আমাদের সরকারও তাদের কোনো বাধা দেয়নি। এতে তারা ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন শুরু করেছিল। তবে ২৮ তারিখ যে ঘটনা, যেভাবে পুলিশকে কোপালো, সাংবাদিকদের মারল, এতে ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই তাদের জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যেমন ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিএনপিও সেভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে তাদের কোনো তফাৎ দেখছি না। আমরা এই সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা নিজেরাই পালালো।

বিএনপির অবরোধের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, কিসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ। যখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে, তাদের কাজটাই হলো উন্নয়ন নস্যাৎ করা।

আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে রাসিক মেয়র ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতবিনিময়

কারও চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, এবারও পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন হবে এবং যথাসময়েই হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কারও চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না। জনগণ তাদের সঙ্গে আছে, বিএনপির সঙ্গে নেই বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’-এ যোগদান বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কে চোখ রাঙালো, কে চোখ বাঁকালো তাতে কিছু যায় আসে না। নির্বাচন হবেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৪ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালেও পারে নাই। এবারও পারবে না।

বিএনপি এবার যে সহিংসতা করছে তাতে এবার আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান সরকারপ্রধান। নাশকতাকারীদের বিচার দ্রুততার সঙ্গে করার ওপরও জোর দেন তিনি।

বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? কে বিরোধী দল? বিরোধী দল হলো তারাই যাদের পার্লামেন্ট সিট আছে। বিরোধী দল বলতে যাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে সংসদে তারাই। এর বাইরে কিছু হয় না। যুক্তরাষ্ট্রেও হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মানুষগুলো হত্যা হলো, তাকে (পিটার হাস) প্রশ্ন করলো না কেন। হিরো আলমকে নিয়ে কথা বলে। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক, যারা এভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারল তাদের সঙ্গে কীসের ডায়লগ। সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক। বালাদেশি মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচিত সরকার থাকলে যে উন্নতি হয় তা আপনারা বিশ্বাস করেন। বিএনপির নাশকতার ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

২৮ অক্টোবরের সহিংসতায় বিএনপিকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে সন্ত্রাসী সেটা আবারও প্রমাণ করল। কানাডার কোট সেটা বারবার বলেছে। মাঝে কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা পালন করেছে। আমাদের সরকারও তাদের কোনো বাধা দেয়নি। এতে তারা ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন শুরু করেছিল। তবে ২৮ তারিখ যে ঘটনা, যেভাবে পুলিশকে কোপালো, সাংবাদিকদের মারল, এতে ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই তাদের জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যেমন ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিএনপিও সেভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে তাদের কোনো তফাৎ দেখছি না। আমরা এই সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা নিজেরাই পালালো।

বিএনপির অবরোধের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, কিসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ। যখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে, তাদের কাজটাই হলো উন্নয়ন নস্যাৎ করা।