ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায়

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হবে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

  • মোঃ আরিফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

নববানী নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। তবে ওই দিনই পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

উদ্বোধনের দিনই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না জানিয়ে সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে চলে যাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হবে যান চলাচলের উন্মুক্তের সময়, সেটা হতে পারে পরদিন সকাল ৬টা থেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দুটি অনুষ্ঠান হবে। একটি মাওয়া প্রান্তে অন্যটি জাজিরা প্রান্তে। মাওয়া প্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। যেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। তারপর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন তিনি।

সচিব জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ১১টায় তিনি জাজিরা প্রান্তের সমাবেশে যোগ দেবেন। ওপাশেও একটি উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল থাকবে সেটিও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জাজিরা প্রান্তে আয়োজিত সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলো এক সঙ্গে ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
প্রকল্পের অবস্থান: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় প্রকল্পের অবস্থান। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।

যেভাবে কাজ শুরু হয়:

১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায়

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হবে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

আপডেট সময় ০৩:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। তবে ওই দিনই পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

উদ্বোধনের দিনই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে না জানিয়ে সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে চলে যাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হবে যান চলাচলের উন্মুক্তের সময়, সেটা হতে পারে পরদিন সকাল ৬টা থেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দুটি অনুষ্ঠান হবে। একটি মাওয়া প্রান্তে অন্যটি জাজিরা প্রান্তে। মাওয়া প্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। যেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। তারপর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন তিনি।

সচিব জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ১১টায় তিনি জাজিরা প্রান্তের সমাবেশে যোগ দেবেন। ওপাশেও একটি উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল থাকবে সেটিও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জাজিরা প্রান্তে আয়োজিত সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলো এক সঙ্গে ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
প্রকল্পের অবস্থান: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় প্রকল্পের অবস্থান। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।

যেভাবে কাজ শুরু হয়:

১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।