ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সহ তার প্রায় ৫ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের  দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে (রোববার ৯ জুন) সকাল ১১ টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের ডাকা এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মাহমুদ, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নান্টু মিয়া, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা মোঃ চঞ্চল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন কবিরাজ, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন গত ৪ জুন দৌলতপুর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি ফি এবং অনার্স কোর্সের ফরম পূরণের অতিরিক্ত খরচ কমানো, কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যান্টিন নির্মাণ এবং ৭ জুন ছয় দফা দিবস উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি প্রোগ্রাম করার অনুমতি সহ বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপনের জন্য কলেজের অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের অপমান করে বলেন কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন।

পরদিন ৫ জুন বুধবার দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের দাবিগুলো আবারও পুনরায় বিবেচনা করার জন্য অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। তবে অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমনের গুলি করতে যাওয়ার কাহিনী নতুন কিছু নয় এর আগেও তিনি বৈধ এই অস্ত্র দিয়ে ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক জহুরুল আলম কে গুলি করতে গিয়েছিল। জহুর আলম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ওই সময় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত রাজু, বিদ্যুৎ , ছোটন খা, মমিনুর রহমান মোহন তাদের কোমরে থাকা অবৈধ অস্ত্র বের করে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা দিক বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

এছাড়াও অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে কলেজটিতে অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়ার রূপকার মাহাবুল আলম হানিফ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এই অধ্যক্ষের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল সহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ছাত্রলীগ ,আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সহ তার প্রায় ৫ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের  দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে (রোববার ৯ জুন) সকাল ১১ টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের ডাকা এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মাহমুদ, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নান্টু মিয়া, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা মোঃ চঞ্চল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন কবিরাজ, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন গত ৪ জুন দৌলতপুর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি ফি এবং অনার্স কোর্সের ফরম পূরণের অতিরিক্ত খরচ কমানো, কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যান্টিন নির্মাণ এবং ৭ জুন ছয় দফা দিবস উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি প্রোগ্রাম করার অনুমতি সহ বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপনের জন্য কলেজের অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের অপমান করে বলেন কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন।

পরদিন ৫ জুন বুধবার দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের দাবিগুলো আবারও পুনরায় বিবেচনা করার জন্য অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। তবে অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমনের গুলি করতে যাওয়ার কাহিনী নতুন কিছু নয় এর আগেও তিনি বৈধ এই অস্ত্র দিয়ে ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রদর্শক জহুরুল আলম কে গুলি করতে গিয়েছিল। জহুর আলম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ওই সময় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত রাজু, বিদ্যুৎ , ছোটন খা, মমিনুর রহমান মোহন তাদের কোমরে থাকা অবৈধ অস্ত্র বের করে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যায়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা দিক বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

এছাড়াও অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে কলেজটিতে অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুষ্টিয়ার রূপকার মাহাবুল আলম হানিফ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এই অধ্যক্ষের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল সহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ছাত্রলীগ ,আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।